কচুয়া উপজেলার পাথৈর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক বাড়িতে পরিবেশ বিনষ্ট করে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ছাগল প্রজননের ব্যবসা। ফলে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ, মন্দিরগামী মানুষজনের চরম অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে পাথৈর উচ্চ বিদ্যালয়, পাথৈর সরকারি হাসপাতাল, পাথৈর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, স্থানীয় মসজিদ ও মন্দিরের আসা যাওয়া লোকজন ও শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে রয়েছেন। এসব ব্যবসা বন্ধের দাবীতে সম্প্রতি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় অধিবাসী মিজানুর রহমান, ফয়েজ আহমেদ রানা ও শ্রী নুপুর চৌধুরী পৃথকভাবে বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অভিযোগ ও তদন্ত সেলের সহকারী কমিশনার এর নির্দেশে শনিবার দুপুরে কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং প্রতিপক্ষদের ছাগল প্রজননে পাঠা পালনের সত্যতা পেয়েছেন।
Related Articles
এ প্রসঙ্গে এসআই মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি লিখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তবে বিষয়টি লিখিত আকারে মাননীয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরন করা হবে।
অভিযোগের বাদী মিজানুর রহমান, ফয়েজ আহমেদ রানা ও শ্রী নুপুর চৌধুরীসহ স্থানীয় লোকজন জানান, পাথৈর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সুবল চন্দ্র দাস, তার স্ত্রী রেখা রানী দাস ও পুত্র পলাশ চন্দ্র দাস কখনো ঘরে-কখনো বাহিরে নিজ ইচ্ছা মতো পরিবেশ নষ্ট করে গো-ছাগল প্রজনন কাজে কয়েকটি পাঠা পালনের মাধ্যমে প্রতিদিন খোলামেলা পরিবেশে প্রজননের মাধ্যমে পরিবেশ দূষিত করছেন। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবছর যাবৎ সামাজিক ভাবে বাধা দিলেও কোন প্রকার কর্ণপাত না করেই নিজেদের পূর্বের পৈত্রিক ব্যবসা দাবী করে এ কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। ফলে জনস্বার্থে খোলামেলা এ ছাগল প্রজননের কাজ বন্ধ করতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
কচুয়া প্রতিনিধি, ৩১ মার্চ ২০২৪